বিলকিসের বাবা শরীফ মিয়া এখন আর মনে মনে নিজের বুদ্ধির তারিফ করেন না। তিনি আর আগের মতো এ জীবনকে ধন্য মনে করেন না। পরম তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন না। এখন মনে হয়, আসলেই তিনি এতকাল কনত্তকর্ণের নিদ্রায় ছিলেন। যে বুদ্ধিতে আগামী দিন দেখা যায় না, সে বুদ্ধি দিয়ে বর্তমানে সুখ পাওয়া গেলেও ভবিষ্যতে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছো্ট্ট মানুষের পৃথিবী খুব কম আয়তকারের হয়ে থাকে। সেখানে তথ্যভন্ডারের ঘাটতি থাকে। বিলকিসের বাবা বয়ষ্ক মানুষ হলেও তার ক্ষেত্রে তেমনি হয়েছে। চরাঞ্চল ঘিরে তার পুথিবী। তার তথ্যভান্ডার এরই মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ ঘাটতির করণে তিনি আগামী দিন যাপসা দেখেছেন। উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া দু'বিঘা জমি থেকে নিজের পরিশ্রম আর আত্মপ্রত্যয়ের জোরে ত্রিশ বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। এত কাল গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু ছিল। তাই তিনি যুগ যুগ ধরে নিজেকে দুনিয়ার সেরা বুদ্ধিমান মনে করছেন। সংসারের এত কাজ করতে তার তেমন লোকজনের প্রয়োজন ছিল না। তিন তিনটি বিয়ে করে বাড়ির ভেতরের কাজ করাতেন স্ত্রীদের দিয়ে। মাঠের কাজের জন্য অনেক কামলার প্রয়োজন ছিল। কিন্ত এত কামলা খাটাতে গিয়ে অনেক টাকা চলে যায় । কামলার অভাব দূর করার জন্য তার প্রাণপণ চেষ্টার ফলে বছরে বছরে কোন না কোন স্ত্রীর কোলে সন্তান আসতো। এ কাজে কোন গাফিলতি ছিল না। ফলে এ পর্যন্ত তিনজন স্ত্রীর সর্বসাকুল্লে ষোল জন পুরুষ এগারো জন স্ত্রী প্রজাতির সন্তান জন্ম নিয়েছে । কিছু সন্তান অকালে মৃত্যমুখে পতিত হলেও অবশিষ্ট বেঁচে আছে তেইশ জন। এতেই তিনি খুশী ছিলেন। জমিদারী ভাষণায় আত্মপ্রসাদ অনুভব করতেন। এদিকে দিনে দিনে সংসারে অভাবের বেড়েই চলে। ক্রমেই ক্ষেতের পর ক্ষেত সাগরের তলায় চলে যেতে থাকে। আবার যে সব জমি এখনো সাগরের তলায় যায় নি সে সব অনেক ফসলী জমিতে লোনা পানি ঢুকে পড়েছে। তাই জমিতে এখন আর ধান হয় না। লোনা পানির জন্য পুকুরের মাছ বাঁচে না। মাঠে ঘাস হয় না। গবাদি পশুর খাবার নেই। লবনাক্ত পানি খেয়ে পশুগুলির পেটে পীড়া দেখ দেয়। এতসব ভিন্ন ধরণের নতুন নতুন সমস্যার কারনে চিন্তায় চিন্তায় বিলকিসের বাবার চোখে ঘুম নেই। রোগে রোগে বয়সের আগেই বুড়িয়ে গেছেন। আগে বুদ্ধি নিতে আশে পাশের লোকজন বিলকিসের বারার কাছে আসতেন। তার বুদ্ধিতে চলে অনেকেই এখন তারমতোই বিপদে আছেন। ফলে একালে আর কেউ তাকে বুদ্ধিমান মনে করেন না। বিলকিসের বাবার জন্ম চরাঞ্চলে। আগে বছরে বছরে চরের জমি জেগে উঠত। কোন প্রকার অন্যায় কলা কৌশল না খাটিয়ে ও দিনে দিনে তার জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। অন্যের জমির সীমানা ঠেলে নিজের জমি বাড়ানো, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে চরের জমি দখল করা ইত্যাদি অনৈতিক কাজের সাথে তিনি কখনো জড়িত ছিলেন না। তিনি রীতিমত কঠোর পরিশ্রম করে ক্ষেতে ফসল ফলাতেন। মাঠে গরু ভেড়া চড়াতেন। ঘরে হাস মুরগী পালতেন। পুকুরে মাছ ফলাতেন। এসব বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ জামাতেন তাই দিয়ে বছরে বছরে জমির পরিমাণ বাড়াতেন। বিলকিসের বাবা কখনোই কারো মাথায় বাড়ি দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন নি। হাসরের ময়দানে কেউ বলতে পারবে না, হে আল্লাহ বিলকিসের বাবা আমার জমি জোর করে নিয়ে গেছে। তাই আমার জীবনের সব পাপ তার মাথায় চড়াইয়া দাও। এ ফাঁকে আমার পাপ মুছে যাবে। আর আমাকে বেগুনাহ করে বেহেস্তে নিয়ে যাও। বিলকিসের বাবা এই রকমের সুযোগ কারো জন্য রেখে যান নি। তাই মনে হয় কেবল এই কাজটিই বুদ্ধিমানের মতো করেছেন। বিলকিসের বাবা মাঝে মধ্যে গ্রামের মৌলভীদের দাওয়াত করে খাওয়াতেন। ফসল তুলে মিলাদ পড়াতেন। মৌলভীদের কাছে শুনেছেন, বিধমর্ীদের জমিও দখল করলে আল্লাহ তাআলা কোন ভাবেই ক্ষমা করবেন না। যে জমি দখল করা হয় সেই জমির ওজনের পাপ মাথায় নিয়ে হাসরের ময়দানে উঠতে হবে। বিলকিসের বাবা তার বাবার সংসারে তিন বেলা পেট ভরে খেতেন। ভোর বেলায় এক সের চাউলের ভাত খেয়ে অতপর দেড় সের পরিমাণের গাভির দুধ খেতেন। তারপর বাবার সাথে চলে যেতেন ক্ষেতের কাজ করতে। সেখানে দুপুর পর্যন্ত কাজ করে আবার বাড়ি ফিরতেন। পুকুরে গোসল করতে করতে ডুবে ডুবে অনেক মাছ তুলতেন। গোসল সেরে ঘি মাখা গরম ভাত আর প্লেটভরা মাছ মেখে পেট ভর্তি করে আধ ঘন্টা ঘুম দিতেন। কেননা দেড় সের চালের ভাত খেয়ে কাজ করা যায় না তাই একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এবার আবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসারের নানাবিধ কাজ করতেন। পড়ন্ত বিকেলে, নারকেল, সুপারি, ধান, মাছ যখন যা থাকতো তাই নিয়ে বাজারে যেতেন। এসব বিক্রি করে বাজারে চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ আড্ডা দিতেন। কামলাদের পাওনা পরিশোধ করতেন। সংসারের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে রাত এগারোটার মধ্যে বাড়ি ফিরে বাবাকে আধা পাকা মালামালের বিক্রিও অবশিষ্ট টাকা বুঝিয়ে দিয়ে আবার দেড় সের চাউলের ভাত খেয়েই লম্বা ঘুম। মরার আগে ছেলের বউ দেখে যেতে ইচ্ছে ছিল বিলকিসের দাদার। তাই সতের বছর বয়সেই তাকে বিয়ে করতে হয়েছে। বিয়ের এগারো মাসের মাথায় বিলকিসের জন্ম। প্রথম সন্তান মেয়ে হলে নাকি বরকত হয়। বিলকিসের বাবারও বরকত হয়েছে। আবার নিজের মেয়েকে সুশিক্ষা দিয়ে বিয়ে দিলে তার জন্য বেহেস্ত যাওয়া সহজ হয়। তাই তিনি একের পর এক সকল মেয়েকে সস্নেহ মক্তবে পড়িয়ে ভাল ঘর দেখে বিয়ে দিয়েছেন। বিলকিস এখন ছয় সন্তানের মা। গ্রামের এক স্বচ্ছল পরিবারে তার বিয়ে হয়। সে সংসারে কোন দিন অভাব ছিল না। বিলকিসের চার বোনকে বিয়ে দিয়েছেন একই গ্রামে। এই এলাকায় প্রচুর ধান হতো। চরাঞ্চলে মাছের অভাব ছিল না। জমিতে প্রচুর ফলন হতো। সকলেই মিলে মিশে সুখে শান্তিতেই ছিল এতকাল। বার মাস বিলকিসের সংসারে মেহমান থাকতো। বিলকিসের ভাই - বোন ও তাদের সন্তানেরা মাঠে এক সাথে খেলাধুলা করে একেক দিন একেক বাড়িতে খেতো। আগে মেহমান না থাকলে ভাল লাগতো না। আজকাল মেহমান আসলে কেউ খুশি হন না। আগে মেহমানরা থাকতে চাইতেন না। এখন মেহমান এলে যেতে চান না। অভাব তাদের ভালবাসা কেড়ে নিয়েছে। শোনা যায় সমুদ্রের উচ্চতা দিনে দিনে বাড়বেই। এতকাল যে সমুদ্র তাদের খাদ্য জোগান দিত সেই সমুদ্রই এখন তাদের ভিটে মাটি কেড়ে নিতে দিনে দিনে এগিয়ে এসছে। বিলকিসের বাবা এখন সারা দিন শুয়ে বসে দিন কাটান। বাইরে বের হন না। এখন মাটির গভীরে প্রেথিত একান্ত শেকরের মতই স্মৃতির গভীরে রক্ষিত পুস্পিত দিনের স্মৃতি নিঙড়িয়েও সুখানুভূতি অনুভত হয় না। রোগে রোগে আর অর্ধাহারে অনাহারে থেকে একেবারে কাতর। ডাক্তার কবিরাজ দেখনোর মতো অর্থ নেই। একবার উপজেলার পাশ করা ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ডাক্তার বলেছেন, লোনা পানি ব্যবহারের কারনে এসব রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে। বাঁচতে হলে এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। কেননা এ এলাকায় কোথায়ও মিষ্টি পানি নেই। ডাবের পানিতে, খেজুরের রসেও রয়েছে বিষ । কিন্তু বাপদাদা চৌদ্দপুরুষের ভিটে ছেড়ে এত ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় যাবেন তিনি ! চারিদিকে বিপদ, তবু সাগর যতক্ষণ পর্যন্ত না ভিটেমাটি কেড়ে নিচ্ছে ততক্ষণতো থাকতে হবে। বাড়িতে বসে শুয়ে কাটালেও তিনি সংসারের সব খোঁজ খবর রাখেন বিলকিসের মায়ের সাহায্যে। দূরারোগ্য ব্যাধির আক্রোশে এতকালের অদমিত শক্তি নিরবে ক্ষয়ে ক্ষয়ে অবিদিত পথে ধাবিত করছে। অন্ত:সারশূণ্য কঙ্কাল দেহটির অক্ষমতার কারণে শুকিয়ে যাওয়া হৃদয়কে রক্তাক্ত করে চলেছে। অর্থনৈতিক কতর্ৃত্ব ধীরে ধীরে নি:শ্বেসিত হয়ে যাওয়ায় তার অস্তিত্ব সকলের মাঝ থেকে বিলুপ্তির পথে। তবু অবুজ মন সংসারের খোঁজ কবর রাখতে চায়। বিলকিসের মা, তোমার ছেলে মেয়েরা কোথায় ? ওরা মাঠে খেলছে। কেন ইস্কুলে গেল না। না। কেন গেল না? ইস্কুল কামাই করলে চলবে ? স্কুলে গেলে না কি ক্ষিধে লাগে। খেললে ক্ষিধে লাগে না? না। ওদেরকে আর পড়তে বলবেন না। আমার সোনামনিরা না খেতে খেতে শুকিয়ে গেছে। বলেই বিলকিসের মা কেঁদে দিলেন, নিঃশব্দে ! কি করব বিলকিসের মা, এবারও মনে হয় ধান হবে না। বলদ গুলি অসুস্থ। গাভীগুলিও দুধ দেয় না। ডাক্তার বলেছেন লোনা পানি খেয়ে গুরুর পেটে পীড়া হয়েছে। সাগর আমাদেরকে সর্বশান্ত করে ছাড়বে । তিন বছর আগেও সাগর ছিল পাঁচ মাইল দূরে এখন একে বারে কাছে চলে এসেছে। মনে হয় আগামী বছরের মধ্যে আমাদের ভিটে মাটি সাগরের তলায় চলে যাবে। আম্মিয়ার মতো আমাদেরকেও কি তাহলে ভিটে মাটি ছাড়তে হবে। ভাল কথা, আম্মিয়ার খবর কি ? শুনেছি আম্বিয়া ঢাকার বাস্তিতে থাকে। তার বড় ছেলে এখন জেল খাটছে। আমার এত আদরের নাতি ! বল কি ? কে বলেছে তোমাকে ? আম্বিয়ার মেঝ ছেলে এসেছে। ভাইকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে নাকি অনেক টাকা লাগবে। তাই সে মামার বাড়িতে এসেছে। কোথায় সে, ডাকতো আমি কথা বলি। বড় মামার সাথে বাজারে গেছে। গাভিটা বিক্রি করার জন্য। আমাকে না বলেই গাভি বিক্রি করতে গেল। আজকাল ছেলে মেয়ে নাতিরা কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে না। তিন দিন আগে রহিমার ছেলেটি পেটের অসুখে মারা গেল। সে নাকি অনেক দিন বিছানায় পড়ে ছিল। আমার নাতি এত দিন অসুস্থ ছিল । শেষে মারা গেল । তাকে মাটিও দিল। অথচ আধা মাইল দূরে আমি থাকি, কেউ আমাকে জানালও না। নাতিকে ্ঔষধ কেনার টাকা না দিতে পারলেওতো পানি পড়া দিতে পারতাম। আমার নাতিটার জন্য আসমানের দিকে হাত তুলে বুক ভাসিয়ে কাঁদতে পারতাম। আমিতো এখনো একে বারে অচল হয়ে যাই নি। আম্মিয়ার মা, আমার এত ছেলে মেয়ে এত নাতি নাতনি তিন তিন জন স্ত্রী কিন্তু আজকাল তুমি ছাড়া আর কেউ আমার খোঁজ খবর নেয় না। মনে হয় আমি তাদের সবার সত্রু। এখন না হয় আমি রোজগার করতে পারি না। কিন্তু সারা জীবনতো গতর খাটিয়ে সংসার চালিয়েছি। কারো কোন অভাব রাখি নি। অপরাধ করেছি সংসার বড় করে। তাই এখন কেউ আমাকে সহ্য করতে পারে না। আম্মিয়ার মা আমি বেঁচে থেকেও মরে আছি। সাগর আমার সংসার শেষ করে দিয়েছে। মায়া মমতা কেড়ে নিয়েছে। এখন আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না। আমার সামনে একে একে সবাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আরো আগে মরে গেলেতো এত কষ্ট সহ্য করতে হতো না। এখন এক বেলা পেট ভরে খেতে পাই না। অথচ এ অঞ্চলেও কোন কালেও অভাব ছিল না। মনে হয় কেয়ামতের আগেই আমাদের কেয়ামত হয়ে যাবে !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা
মায়া মমতা কেড়ে নিয়েছে। এখন আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না। আমার সামনে একে একে সবাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আরো আগে মরে গেলেতো এত কষ্ট সহ্য করতে হতো না। এখন এক বেলা পেট ভরে খেতে পাই না। অথচ এ অঞ্চলেও কোন কালেও অভাব ছিল না। মনে হয় কেয়ামতের আগেই আমাদের কেয়ামত হয়ে যাবে !
--------------চমৎকার গল্প।
প্রজ্ঞা মৌসুমী
নিজেকে বোকা বোকা লাগছে। সাগরের পরিধিও যে বাড়তে পারে, এর তলায় বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে এই চিন্তাতো কখনো মাথায় আসেনি। বিরূপ প্রকৃতি, গ্রামের মানুষের চিরন্তন বিশ্বাস আর সমস্যা পেলাম। ভালো লাগলো থিমটা। গল্পের শুরুটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিলকিস নামটা এতোবার আসলো যে ভেবেছিলাম তার একটা সক্রিয় ভূমিকা থাকবে। আমি কথপকোথনে একটু আঞ্চলিকতা আশা করছিলাম। হয়তো বনেদী পরিবারের লোকজন বলেই আলাপটা ইচ্ছে করেই রেখেছেন...সবকিছু মিলিয়ে ভাগ্যবদলের একটা সুন্দর গল্প। অনেক শুভকামনা।
তানভীর আহমেদ
আমার মনে হয় গল্পটা আমাকে আরো দুবার পড়তে হবে। তা না হলে মূল বিষয়বস্তুটা ঠিক বুঝে উঠতে পারব না। তবে বিষয়বস্তু ব্যতিক্রম এটুকুতে মন সায় দেয় নিঃসেন্দেহে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।